What's new

How Awami League handed over South Talpatti to India

idune

ELITE MEMBER
Joined
Dec 14, 2008
Messages
13,663
Reaction score
-40
Country
Bangladesh
Location
United States
How Awami League handed over South Talpatti to India

Recently Permanent Arbitration Tribunal rendered judgement on Bangladesh and India maritime boundary. Bangladeshis felt utterly lost how indian subservient Awami League regime conceded South Talpatti island to india. South Talpatti island is a tiny land spot in south western point of Bangladesh Bangladesh boundary. Close inspection reveals Island today only visible in low tide. Although, area around South Talpatti is immensely important because of natural resource and strategic reasons.

But Awami League regime as it is staying in power with indian money and gun power, outright rejected the existence of the island. Where as india not only claim island exist but also claim island to be theirs and made it base point.

Case filing clearly reveals that indian subservient Awami League reached a sinister deal with india at the background to handover South Talpatti island and adjecent areas. Lets review the case filing of both Bangladesh and india in this regard.

upload_2014-7-9_14-23-23.png


upload_2014-7-9_14-26-59.png
 

Attachments

  • upload_2014-7-9_14-22-57.png
    upload_2014-7-9_14-22-57.png
    51.5 KB · Views: 63
threads already exist on this topic,,,,,band karo yeh rona dhona,,,dispute was settled peacefully,,,that is a gud thing.
 
How Awami League handed over South Talpatti to India

Recently Permanent Arbitration Tribunal rendered judgement on Bangladesh and India maritime boundary. Bangladeshis felt utterly lost how indian subservient Awami League regime conceded South Talpatti island to india. South Talpatti island is a tiny land spot in south western point of Bangladesh Bangladesh boundary. Close inspection reveals Island today only visible in low tide. Although, area around South Talpatti is immensely important because of natural resource and strategic reasons.

But Awami League regime as it is staying in power with indian money and gun power, outright rejected the existence of the island. Where as india not only claim island exist but also claim island to be theirs and made it base point.

Case filing clearly reveals that indian subservient Awami League reached a sinister deal with india at the background to handover South Talpatti island and adjecent areas. Lets review the case filing of both Bangladesh and india in this regard.

View attachment 38148

View attachment 38149
Stop is bs . It's already solved!
 
Here is filing of india subservient Awami League regime denying South Talpatti existence.

Bangladesh’s objection to base points I-1 and I-2 is particularly acute. First, Bangladesh challenges the existence of South Talpatty/New Moore Island on which the points are located. In Bangladesh’s view, the island disappeared permanently below the surface in the late 1980s or early 1990s.104 Bangladesh submits that South Talpatty/New Moore Island is absent on any satellite images after 1989,105 and recalls that nothing more than breakers was seen during the site visit, despite multiple trips to the area.106

198. According to Bangladesh, even if South Talpatty/New Moore Island does exist as a low-tide elevation, it is “on the Bangladesh side of any conceivable boundary line” and inappropriate for a base point.107 In this respect Bangladesh notes that in Qatar v. Bahrain, the International Court of Justice held that low-tide elevations situated in the zone of overlapping claims must be disregarded for the purpose of drawing the equidistance line.108 In Bangladesh/Myanmar, theParties respected this practice and no low-tide elevations for base points were proposed in the delimitation of the territorial sea.

109
199. Sovereignty over South Talpatty/New Moore Island, Bangladesh argues, can only be determined by reference to the delimitation line as “a coastal State has sovereignty over low- tide elevations which are situated within its territorial sea” (Maritime Delimitation and Territorial Questions between Qatar and Bahrain, Merits, Judgment, I.C.J. Reports 2001, p. 40 at p. 101, paragraph 204). Bangladesh notes the decision in the Nicaragua v. Colombia case that low-tide elevations may not be appropriated, (Nicaragua v. Colombia, Judgment of 19 November 2012, paragraph 26) as well as decisions in the Malaysia/Singapore and Nicaragua v. Honduras cases in which the Court declined to determine sovereignty over the low-tide elevations in dispute (Case Concerning Sovereignty Over Pedra Branca/Pulau Batu Puteh, Middle Rocks and South Ledge (Malaysia/Singapore), Judgment, I.C.J. Reports 2008, paras. 291-299; Territorial and Maritime Dispute between Nicaragua and Honduras in the Caribbean Sea (Nicaragua v. Honduras), Judgment, I.C.J. Reports 2007, paragraphs 144-145).
200. In addition, Bangladesh submits that South Talpatty/New Moore is “far too insignificant, and its stability far too suspect, to be accorded such importance in this delimitation”.110 Citing the Black Sea and Gulf of Maine decisions, Bangladesh argues that “the International Court of Justice has made it clear on several occasions that what it refers to as ‘minor geographical features’ should not be used as the basis for delimiting a maritime boundary” (Maritime Delimitation in the Black Sea (Romania/Ukraine) I.C.J Reports 2009, p. 61, paragraph 137; Delimitation of the Maritime Boundary in the Gulf of Maine Area (Canada/USA), I.C.J. Reports 1984, p. 329, paragraphs 201, 210). In the Black Sea case in particular, Bangladesh further observes, the International Court of Justice declined to place a base point on Serpent’s Island, a much larger and more prominent feature than South Talpatty/New Moore.111 Similar small islands were disregarded in Libya/Malta and Nicaragua v. Colombia.
 
Jo mera hai woh mera hai aur jo tera hai woh bhi mera hai. That's Baniya golden rule for ya:D
 
বিশেষ সাক্ষাৎকার:মোহাম্মদ খুরশেদ আলম



প্রথম আলো :১৯৮০ সালে আপনি কী পদে ছিলেন? আর তালপট্টিতে কী ভূমিকা রেখেছিলেন?
খুরশেদ আলম :আমি একটি গানবোট নিয়ে গিয়েছিলাম। ১৩০ টনের গানবোট। ভারত পাঠিয়েছিল এক হাজার ১০০ টনের চারটি জাহাজ। আমি তখন লে. কমান্ডার ছিলাম।
প্রথম আলো :
তালপট্টি দ্বীপে নেমেছিলেন?
খুরশেদ আলম :আগেই ভারত সেখানে অবতরণ করেছিল।
প্রথম আলো :আপনারা দ্বীপের কতটা কাছে গিয়েছিলেন? কী অভিজ্ঞতা ছিল?
খুরশেদ আলম :দ্বীপের প্রায় আধা মাইল কাছাকাছি গিয়েছিলাম। বেতারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। কোনো গোলা বিনিময় হয়নি। ভারত সেখানে তাদের পতাকা উড়িয়েছিল। ঘর তুলেছিল। গাড়ি এনেছিল।
 
সরকারের রাখঢাক এবং মিডিয়ার হাঁকডাক
12 July 2014, Saturday
মিনার রশীদ
minarrashid@yahoo.com

পঞ্চম ইন্দ্রিয়ের পর মানুষের একটা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় রয়েছে। সেটা প্রয়োগ করে এ দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে, সমুদ্রসীমার রায় নিয়ে সরকার যেন কিছু একটা লুকোতে চাচ্ছে। সমুদ্রসীমার রায় হস্তান্তর করা হয়েছে ৭ জুলাই। কিন্তু তা ৮ তারিখের আগে প্রকাশ করা যাবে না মর্মে সালিশি আদালতের এই নির্দেশ একটু অস্বাভাবিক লেগেছে। দু’টি পক্ষের কাছে রায় হস্তান্তরের পর সালিশি আদালতের পক্ষ থেকে আবার তা পরের দিন দুপুর পর্যন্ত প্রকাশ না করার নির্দেশের মধ্যেই এই কিছু একটা লুকিয়ে থাকতে পারে। মাঝখানের এই এক দিন সময় সরকারের বিশেষ প্রস্তুতির জন্যই কি নেয়া হয়েছে?
শুধু সরকারের মধ্যে এই রাখঢাক নয়, সরকার প্রভাবিত মিডিয়া জগতেও একটি বিশেষ হাঁকডাক লক্ষ করা গেছে। বর্তমান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পরপর দেশের দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলো সাথে সাথেই তাদের অনলাইনে তাজা খবরটি পরিবেশন করেছে। এই তরতাজা খবর পরিবেশনে সব পত্রিকা আশ্চর্যজনকভাবে প্রায় একই শিরোনাম ব্যবহার করেছে। ৮ জুলাই সংবাদ সম্মেলনের পরপর পত্রিকাগুলো তাদের অনলাইনে যে শিরোনামগুলো দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করে তা নিম্নরূপ :
সমুদ্রে সাড়ে উনিশ হাজার বর্গকিলোমিটার পেল বাংলাদেশ (প্রথম আলো)
ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধের রায়, বাংলাদেশের জয় (দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন)
সমুদ্রসীমার রায় : তালপট্টির ১৯ হাজার বর্গ কিমি. পেল বাংলাদেশ (দৈনিক যুগান্তর)
সমুদ্রসীমার রায় : তালপট্টির ১৯ হাজার বর্গ কিমি. পেল বাংলাদেশ (দৈনিক ভোরের কাগজ)
ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা মামলার রায় : বাংলাদেশ পেল ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার (দৈনিক সমকাল )
ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা মামলার রায় প্রকাশ : সাড়ে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার পেল বাংলাদেশ (ইত্তেফাক)
সমুদ্রসীমা : বাংলাদেশ পেল সাড়ে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার ( বিডি নিউজ-২৪ ডটকম )
Maritime Dispute with India Bangladesh gets 19,467 sq km area in the Bay (Daily Star)
শিরোনামগুলোর দিকে একটু সতর্ক দৃষ্টি ফেললে মনে হবে যেন কোনো একটি জায়গা থেকে সবাইকে একই কথা লেখার জন্য বলে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তালপট্টির কথা জনগণের মগজে ও মনে আসার আগেই যেন উনিশ হাজার বর্গকিলোমিটার প্রাপ্তির সংবাদটি মগজে কিক করে। যে সংবাদটি জানার জন্য দেশের সর্বস্তরের জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল, প্রথম মুহূর্তে সেই খবরটি না দিয়ে পত্রিকাগুলো তাদের পাঠকদের সাথেও প্রতারণা করেছে। তাও দুয়েকজন করেনি, সবাই দল বেঁধে করেছে। তবে প্রথম শ্রেণীর পত্রিকাগুলোর মধ্যে মাত্র নয়া দিগন্ত ও মানবজমিন ব্যতিক্রম। তাদের তাজা খবরের অন লাইন শিরোনাম ছিল নিম্নরূপ।
সমুদ্রসীমার রায় : তালপট্টি ভারতের (নয়া দিগন্ত)
দক্ষিণ তালপট্টি হারাল বাংলাদেশ (মানবজমিন)
আমি নিজেও আমার ফেস বুক পেইজে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পোস্টিং দিয়েছিলাম। শিরোনামটি ছিল, মদনের কলা ভাগ ও সমুদ্রসীমা নিয়ে আদালতের রায়। বিডি-টুডেডটনেট, তাজাখবর ডটকমসহ আরো কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা সেই লেখাটি গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে।
পরের দিন পত্রিকাগুলোর যে প্রিন্ট সংস্করণ বেরিয়েছে সেখানে তালপট্টির খবরটি অনেকে দিয়েছে। কিন্তু এর আগে লিখেছে যে তালপট্টি দ্বীপটি পানিতে তলিয়ে গেছে। মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, তালপট্টি নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। দীপু মনি জানিয়েছেন, ‘তালপট্টির কোনো অস্তিত্ব নেই। এই নামে কোনো দ্বীপ ছিল না। এটি ছিল নিম্ন প্লাবিত অঞ্চল।’
এখন এগুলো নিয়ে যারা উল্টাপাল্টা কথা বলবে তাদেরকে হয় জেলখানায় নয়তো বা হেমায়েতপুরে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সরকার ও মিডিয়ার খবর পরিবেশনের যুগপৎ এই কসরতটি দেখে নিচের কৌতুকটি মনে পড়ে যায়।
এক লোক লটারিতে অনেক টাকা পায়। এক পিয়ন এসে বাড়িতে খবরটি দিয়ে যায়। কিন্তু খবরটি কিভাবে তাকে জানানো যায় তা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ভদ্রলোকের এক বন্ধুকে দিয়ে ধাপে ধাপে এই সংবাদটি জানানো হবে। প্রথমে অল্প থেকে শুরু করে। তারপর ধাপে ধাপে অঙ্ক বাড়িয়ে। বন্ধু বলে, আচ্ছা বন্ধু, তুমি যদি লটারিতে এক কোটি টাকা পাও তাহলে কী করবে? ভদ্রলোক অবিশ্বাসের হাসি দিয়ে বলেন, ‘ধ্যাৎ, এটা তো ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে কোটি টাকার স্বপ্ন দেখা। তার পরও যদি পেয়ে যাই, যাও প্রাপ্য টাকার অর্ধেক তোমাকে এখনই লিখে দিয়ে দেবো।’
এ কথা শুনে সেই বন্ধুই বেহুঁশ হয়ে পড়ে।
সরকার ও সরকারবান্ধব মিডিয়া ওপরের কৌতুকের মতোই ধাপে ধাপে তালপট্টি হারানোর এই দুঃসংবাদটি হজম করিয়েছে।
মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রজয়ের সংবাদ ঘোষণাটি ছিল আরো নাটকীয় ও চমকপ্রদ। জাতীয় সংসদের ভেতরেই প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। কিছু দিন আগে মমতাজ সঙ্গীত পরিবেশন করলেও তার আগে দীপু মনি একটা চমৎকার নাটক করেছিলেন। এই নাটক দেখে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সারা দেশবাসী বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল।
ওই সময় বিষয়টি নিয়ে আমিও আমার কলামে লিখেছিলাম। দীপু মনির সেই সমুদ্র বিজয়ের ঘোষণাটি ছিল এক ছেলে বর্ণিত শাশুড়ির মুরগির সাইজের মতো। ছেলের কথা শুনে মা আঁৎকে ওঠেন, বাবারে মুরগি কি কখনো এত্ত বড় হয় ? লজ্জা পেয়ে ছেলে বলে, মা ওপরের হাতটির নিচে অন্য হাতটি রাখতে ভুলে গিয়েছিলাম। দীপু মনিও তার (সমুদ্র বিজয়) মুরগির সাইজ দেখাতে নিচে হাতটি রাখতে ভুলে গিয়েছিলেন। কী হারিয়েছেন সেটা চেপে গিয়ে শুধু কী পেয়েছেন তা বলেছিলেন বলে সেই মুরগিটিকে হাতি বলে ভ্রম হয়েছিল।
এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে উভয়েরই জয় হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য মন্ত্রী এবং হানিফের মতো নেতারা তাদের স্বরেই সমুদ্র বিজয় নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে চলেছেন। নিজেদের মুরগির সাইজটি এক হাতে দেখাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ বরাবরই তাকে হাতি বানিয়ে ফেলে।
সমুদ্রসীমা নির্ধারণ শেষ হয়ে গেছে। এখন আদালত থেকে যে রায় দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে অন্য কোথাও আপিল করা যাবে না। কাজেই যা কিছু করার তা আগেই করা প্রয়োজন ছিল। সঙ্গত কারণেই মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, প্রয়োজনীয় কাজগুলো আদৌ করা হয়েছিল কি না। কারণ প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং তা বলিষ্ঠভাবে পেশ করার জন্য যে রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও দক্ষতার প্রয়োজন ছিল, বর্তমান সরকারের মাঝে এই দু’টিরই মারাত্মক অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে।
বর্তমান সরকারের ওপর থেকে সব আস্থা জনগণ হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে নেয়ার চেয়ে দেয়ার জন্যই এরা বেশি উদগ্রীব হয়ে থাকেন। শুধু দেয়ার এই মানসিকতা নিয়ে ঝানু প্রতিপক্ষের কাছ থেকে কিছু আদায় করা আসলেই কঠিন। তা ছাড়া ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন ও বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন এই সরকারকে ত্রাণকর্তার প্রতি আরো নতজানু বানিয়ে ফেলেছে। মাঝখান থেকে বিজেপি ক্ষমতায় এসে পড়ায় এই অবৈধ সরকারটি আরো বেকায়দায় পড়ে গেছে। পুরনো দেবতাকে যা যা দিয়েছিল নতুন দেবতাকে আরো বেশি নজরানা দেয়া দরকার হয়ে পড়ে। এমন প্রেক্ষাপট সামনে রেখেই আমাদের লাভ ক্ষতির হিসাবটি মেলাতে হচ্ছে। শুধু বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা নয়, যেকোনো নিরপেক্ষ গবেষণাতেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
ওই ট্রাইব্যুনালের পাঁচজন বিচারকের মধ্যে ইন্ডিয়া একজন নিজস্ব লোককে নিয়োগ দিয়েছে (On 6 November 2009, India appointed Dr. Pemmaraju Sreenivasa Rao as a member of the Tribunal in accordance with subparagraph (c) of article 3 of Annex VII )। একইভাবে সুযোগ থাকার পরও বাংলাদেশ নিজ দেশের কাউকে নিয়োগ না দিয়ে পর পর দু’জন বিদেশী বিচারককে নিয়োগ দিয়েছে (On 8 October 2009, Bangladesh appointed Professor Vaughan Lowe QC as a member of the Tribunal in accordance with subparagraph (b) of article 3 of Annex VII . On 13 September 2010, Bangladesh appointed Judge Thomas A. Mensah in replacement of Professor Vaughan Lowe QC). বিবদমান পক্ষ থেকে একজন করে বিচারক বাছাই করার সুযোগ দেয়ার মধ্যে বিশেষ একটা উদ্দেশ্য ছিল। এই সুযোগটিকে ইন্ডিয়া পুরোপুরি কাজে লাগালেও আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি। একজন দেশপ্রেমিক ইন্ডিয়ানের বিপরীতে একই পর্যায়ের একজন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী না থাকায় ট্রাইব্যুনালের ভারসাম্য এক দিকে কাত হয়ে পড়াই স্বাভাবিক। এটা কি নেহায়েত গাফিলতি নাকি মেজর হাফিজের কথামতো অনেকটা পাতানো খেলা?
আমাদের দেশে কি এই মাপের বিচারক বা আইনজ্ঞ একজনও খুঁজে পাওয়া যায়নি? যে কাজ নিজে করতে হয় তা শুধু পয়সার বিনিময়ে কামলা দিয়ে হয় না। এই মামলায় বিভিন্ন কলাকুশলীর জায়গায় বাংলাদেশ যেখানে মন্ত্রী, এমপি, পুরা সেক্রেটারি, খুচরা সেক্রেটারি, ডাইরেক্টর জেনারেল, আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স (কোনো র্যাংক বা পেশার প্রতি বিদ্বেষ থেকে বলছি না, রায়ের কপিটি দেখলে সহজেই চোখে পড়বে) দিয়ে ভরে ফেলেছে সেখানে ইন্ডিয়া তাদের দলটি নিজস্ব আইনজ্ঞ, হাইড্রোগ্রাফার, প্রফেসর দিয়ে সুসজ্জিত করেছে। ধারণা করা যায় যে, বিদেশী কামলাদের ওপর মূল কাজের ভারটি দিয়ে আমাদের আমলারা ছিলেন পিকনিক মুডে। ইন্ডিয়ার নিজস্ব বিশেষজ্ঞরা তাদের কাজটি যথাযথভাবে পালন করেছে এবং তার ফলটিও পেয়েছে। আমাদের যা প্রাপ্য ছিল তা আদায় করতে পারিনি। ইন্ডিয়া যতটুকু পাওয়ার তার থেকেও বেশি আদায় করে নিয়েছে।
আমাদের আমলাদের কাজ আমলারা করেছেন। অর্থাৎ তালপট্টি খুইয়ে এসেছেন। এখন পলিটিশিয়ানরা তাদের কাজ শুরু করেছেন। চাপার জোরে কেউ কেউ এখন তালপট্টি নামক দ্বীপটির অস্তিত্বকেই অস্বীকার করছেন। এখন তারা সমুদ্র বিজয় উদযাপন শুরু করে দিয়েছেন। এটা হয়েছে গ্রামের আবদুলের শহরে গিয়ে বিল্ডিং গণনার মতো। শহুরে এক টাউটকে ১০টি বিল্ডিং গুনে ৯টির দাম পরিশোধ করে। তারপরে সাথে থাকা স্ত্রীকে নিজের বাহাদুরি দেখায়, দেখলে তো কেমন ফাঁকিটা দিলাম।
এই মাথামোটাদের কে বোঝাবে যে এসব সালিশি আদালত কাউকে বিজয়ী বানায় না। এসব ট্রাইব্যুনাল চেষ্টা করে উপস্থাপিত তথ্য, উপাত্ত, যুক্তিতর্কের আলোকে যথাসম্ভব ন্যায্যভাবে দুই পক্ষের মধ্যে সমুদ্রসীমানা-সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা করে দেয়া। কাউকে জয়ী বা বিজয়ী করার জন্য এই ট্রাইব্যুনাল কাজ করে না। এটা হলো আরবিট্রেশন, উদ্দেশ্য হলো দুই পক্ষের প্রতি সুবিচার করা। তবে কোন পক্ষ কিভাবে নিজেদের দাবি উপস্থাপন করে এবং ট্রাইব্যুনালকে কিভাবে বোঝাতে সক্ষম হয় তার ওপর নিজের প্রাপ্তি অনেকটা নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে ঝানু ইন্ডিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও অফিসারবর্গ বেশি সুবিধা নিতে পারবেন তা কোনো পাগলেও বিশ্বাস করবে না।
জাতিসঙ্ঘের দ্য নিপ্পন ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত Delimitation of maritime boundaries between adjacent States গ্রন্থে এই বিচারকদের কার্যপরিধি বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, The task of the judge is to produce an equitable and just result in the particular case. To reach such a result, the judge has to take into account the relevant circumstances of each case, not only by balancing the various circumstances, but also by balancing or composing the interests of the State in dispute.
অর্থাৎ বিচারকদের কাজ হলো যেকোনো বিশেষ মামলায় ন্যায্য ও সঠিক বিচার প্রতিষ্ঠা করা। এ রকম ফল পেতে বিচারকেরা প্রতিটি মামলার সব পারিপার্শ্বিক অবস্থা গণনায় নেবেন। এই কারণে শুধু বিভিন্ন ঘটনার মধ্যেই ভারসাম্য টানেন না, বিবদমান দু’টি রাষ্ট্রের স্বার্থের মধ্যেও প্রয়োজনমতো ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করেন।
এই স্বার্থের ভারসাম্য বলে অনেক কিছু বোঝানো হয়েছে। এই স্বার্থের ভারসাম্য বলতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সামরিক সব ক্ষেত্রেই ভারসাম্য বোঝানো হয়েছে। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে ও গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রচ্ছন্ন হুমকিতে থাকা এই বিশাল জনগোষ্ঠী আরো সুবিচার দাবি করতে পারত। ইন্ডিয়ার রয়েছে বিশাল সমুদ্র এলাকা। সে তুলনায় বাংলাদেশের কাছে রয়েছে যৎসামান্য। যে ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার আমাদের এখান থেকে নিয়ে ভারতকে দেয়া হয়েছে তা বিশাল সমুদ্র এলাকার অধিকারী ভারতের জন্য কিছু নয়, কিন্তু আমাদের জন্য অনেক কিছু। এই কথাগুলো ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত একজন বাংলাদেশী বিচারক যে আবেগ ও অধিকারবোধ নিয়ে পেশ করতেন, কোনো বিদেশীর পক্ষে তা সম্ভব নয়।
তালপট্টি দ্বীপটি বাংলাদেশের জন্য স্ট্র্যাটেজিক্যালি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইন্ডিয়ার কাছ থেকে গায়ের জোরে এটি দখল করা বাংলাদেশের পক্ষে কখনোই সম্ভব হতো না। কাজেই এই ট্রাইব্যুনাল বিশেষ একটি সুযোগ আমাদের সামনে হাজির করে। সেই সুযোগটিকে আমরা ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারিনি। দ্বীপটি বাংলাদেশের ভাগে পড়লে অত্র অঞ্চলের ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট হতো না। বরং মারাত্মকভাবে আন-ব্যালান্সড এই অঞ্চলের সামরিক পরিস্থিতি কিছুটা ব্যালান্সের দিকে সরে যেত।
কারণ কোনো একটি দেশ প্রতিবেশীর তুলনায় অত্যধিক দুর্বল হয়ে পড়লে সেখানে স্বভাবতই অবিচার ও অশান্তি দানা বাঁধে। অত্যধিক গরিবের মেয়ে পেলে অনেক নিষ্ঠুর স্বামী যেমন মনের সুখে পেটায়, প্রতিবেশী বেশি দুর্বল হলেও ব্যাপারটা তেমন হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ তালপট্টি দ্বীপটি ইন্ডিয়াকে দিয়ে দেয়ায় অত্র অঞ্চলের এই গরিবের মেয়েটিকে আরো গরিব বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
এখন এই গরিবের মেয়ে মুখে কড়া লিপস্টিক মেখে ও অদ্ভুত সাজে সজ্জিত হয়ে সমুদ্র জয় হয়েছে বলে উল্লাস করছে। এর ফলে আরো কয় মণ কিলগুঁতো কপালে লেখা হয়ে গেছে তা মালুম করতে পারছে না।
বিষয়টিকে জনগণের বোধগম্য ভাষায় বর্ণনা করার জন্য আমি এক মদনের কলা ভাগ দিয়ে ব্যাখ্যা করেছি। এক মদনের কাছে ২৫টি কলা রয়েছে। সেই কলা নিজের পৈতৃক সম্পত্তি থেকেই উৎপন্ন হয়েছে। কিন্তু পাশের ক্ষেতের মধু নিজের অনেক কলা থাকার পরেও দাবি করল যে, এই মদনের ২৫টি কলাতে তারও একটা অধিকার রয়েছে। কাজেই আইনের পরিভাষায় মদনের এই ২৫টি কলা হয়ে পড়ল ডিসপুটেড বা বিরোধপূর্ণ কলা। এক সালিশ বোর্ড এসে মদন আর মধুর মধ্যে সেই কলা ভাগ করে দিলো। মদন পেল ১৯টি, আর মধু পেল ছয়টি কলা।
এখানে মধুর কোনো স্বত্ব আদতেই ছিল না। নেহায়েত চাপার জোর আর মেধার বলে সে ছয়টি কলা পেয়ে গেছে। মদন এখন খুশিতে ডুগডুগি বাজাচ্ছে যে, সে মধুর চেয়ে ১৩টি কলা বেশি পেয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এই রায় মেনে নেয়ার জন্য মধু নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশের আগেই মদন তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেলেছে। তেমনিভাবে নিজের কলায় অপরের ভাগ সুনিশ্চিত করে মদনরা এর নাম দিয়েছে সমুদ্র বিজয়।
উৎসঃ নয়া দিগন্ত
Share on facebook Share on email Share on print 5
 
'আমরা কম পেয়েছি, তবে হারাইনি'



ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা জয়ের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার বিভাগের সচিব খুরশেদ আলম বলেছেন, 'আশির দশকের ম্যাপে তালপট্টি আমাদের দেখাতে পারলে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ভূখণ্ডটি আমাদের হাতছাড়া হতো না। আমরা মামলা করেছিলাম আগে, অর্থাৎ ২০০৯ সালে, তারপর ২০১০ সালে ম্যাপ সংশোধন করেছি। আগের সরকারগুলো যদি এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে সমুদ্রসীমার এ মামলার বিষয়ে এগিয়ে যেত, তবে আমাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে সুবিধা হতো।' শুক্রবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো অনুষ্ঠান 'পূর্বাপর' অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিক শোভন আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির।



অনুষ্ঠানে খুরশেদ আলম বলেন, 'আমরা যা চেয়েছি, তার চেয়ে সামান্য কম পেয়েছি। এটাকে হারানো বলা যাবে না। কারণ আমরা ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার চেয়েছি কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার। ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার আমরা দাবির চেয়ে কম পেয়েছি। এটাও আমাদের জন্য এক ধরনের বিজয়। কারণ বিশ্বের কোনো আদালতেই বাদী যা আবেদন করে, তার সবটা পায় না।'



আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক বিএনপি নেতা ও সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনের একটি বক্তব্যের রেকর্ড শোনান। তাতে মেজর হাফিজ বলছিলেন, সরকার সমুদ্রসীমার রায় নিয়ে যেভাবে বলছে তাতে প্রকৃতপক্ষে আমাদের কোনো পক্ষে কোনো রায় আসেনি। বরং সরকারের মামলাটি সেভাবে উপস্থাপন করতে না পারার কারণে ও সরকারের নতজানু পরাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশ এ রায়ে অনেক সমুদ্রসীমা হারিয়েছে। তিনি আরো বলেন, 'সরকার বলছে যে ইন্টারনেটে আছে যে কী পরিমাণ সমুদ্রসীমা বাংলাদেশ পেয়েছে। এটা তো আসলে সবার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশ এখনো ডিজিটাল হয়নি।' তাঁর এ বক্তব্যের জের ধরে সঞ্চালক জানতে চান, ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার রায় নিয়ে বিএনপি যে নেতিবাচক কথা বলছে কিভাবে বিশ্লেষণ করবেন?



জবাবে মোহাম্মদ জমির বলেন, 'সব বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক না। আর আন্তর্জাতিক আদালতের একটি রায় নিয়ে বিএনপির মতো একটি দল, যারা তিন তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল, তাদের সমালোচনা মানায় না। কারণ তারাও তো অনেকবার ক্ষমতায় ছিল। তখন তারা এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে? এখন যখন রায় বাংলাদেশের পক্ষে এসেছে তখন তাদের সমালোচনার জায়গা তৈরি হয়েছে।' তিনি বলেন, 'সরকার তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। এর আগেও মিয়ানমারের রায় নিয়ে প্রথমে বিএনপি সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছিল। পরে আবার তা প্রত্যাহার করেছে। এ হলো রাজনীতি।' তিনি বলেন, 'রায় বাংলাদেশের পক্ষে এসেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে যে রায় আমরা পেয়েছি, তাতে আমাদের সমুদ্রসীমাকে কাজে লাগাতে সরকারকে আরো বেশি কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।'



এরপর সঞ্চালক জানতে চান, যে রায় বাংলাদেশ পেয়েছে তা বাস্তবায়ন করা আমাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জ হয়ে গেল কি না। বা কিভাবে সরকার এটাকে বাস্তবায়ন করতে পারবে?

জবাবে খুরশেদ আলম বলেন, 'রায় বাস্তবায়ন করা সত্যি একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ৪০ কিলোমিটার ওপরে গভীর সমুদ্রসীমার মধ্যে আর কোনো নৌযান যায় না। এর পরেও যে আমাদের অনেক মৎস্য আহরণের সম্ভাবনা আছে সেখানে যাওয়ার জন্য আমাদের উপযুক্ততা তৈরি করতে হবে।' তিনি বলেন, 'আমাদের অনেক করণীয় আছে। বিশেষ করে আমাদের আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা নিয়ে আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগে সেভাবে পড়াশোনা করানো হতো না। এখন এ বিষয়টিকে আরো গুরুত্বসহকারে নিতে হবে।'

আলোচনার এ পর্যায়ে মোহাম্মদ জমির বলেন, 'সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী চীন ও জাপান সফর করেছেন। জাপান সফরের সময় জাপান সরকার বে অব বেঙ্গল প্রতিষ্ঠায় আমাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা কাজ শুরু করলে জাপানও আমাদের সহায়তা করবে।'

http://www.kalerkantho.com/print-edition/muktadhara/2014/07/13/106262
 
Real reason why Awami League handed over south Talpatti area to India

So has India lost out? NDTV has accessed an internal government of India note that suggests otherwise.
Even though India believes the delimitation has been done in an arbitrary fashion, it is not the loser. Control of the disputed New Moore Island and concomitant access to Hariabhanga river is a significant gain. The island, supposedly rich in oil and natural gas, has been a traditional sore point between the two neighbouring countries.

The Hariabhanga river, which flows around the Sundarbans in West Bengal and borders Satkhira district of Bangladesh, and the region holds twice the amount of hydrocarbons as compared to the Krishna-Godavari basin in Andhra Pradesh.

UN Tribunal Resolves 40-Year-Old Maritime Dispute Between India and Bangladesh - NDTV
 

Back
Top Bottom